২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং/টেক্সটাইল শিক্ষাক্রমে সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, কম্পিউটার এবং টেক্সটাইল টেকনোলজিতে ভর্তি চলছে। ভর্তিচ্ছু প্রার্থীরা অতি সত্বর যোগাযোগ করুন। যোগাযোগের ঠিকানা: ৮৭, এম. এ. বারী রোড, গল্লামারী, খুলনা। মোবাইল: ০১৭৬০-০৮৮১৫৬, ০১৭১০-৮৬২৩২৩।
খ্রীস্টিয়ান সার্ভিস সোসাইটি(সিএসএস) একটি জনকল্যাণব্রতী সেবা সংস্থা যা ১৯৭২ সাল হতে এদেশের দুঃখকিষ্ট মানুষের সেবা করে আসছে। দরিদ্র মানুষ যখনই বিপদগ্রস্ত হয়েছে তখনই সিএসএস তার সার্বিক সহায়তা নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। যুগোপযোগী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সংস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের দক্ষিণবঙ্গে খুলনা মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র তথা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অতি সন্নিকটে ২০১১ খ্রিস্টাব্দে হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট (এইচপিআই) স্থাপিত হয়। অত্র ইনস্টিটিউট উক্ত বছরেই বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদনক্রমে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমে সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল এবং মেকানিক্যাল এ তিনটি টেকনোলজি নিয়ে ১ম বর্ষ, ১ম পর্বের ক্লাস শুরু করে। অতঃপর ২০১৮ সালে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক কম্পিউটার টেকনোলজি ও ডিপ্লোমা-ইন- টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমের টেক্সটাইল টেকনোলজির অনুমোদন নিয়ে ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষ হতে কম্পিউটার টেকনোলজি চালুর মাধ্যমে উক্ত টেকনোলজিতে ১ম পর্বে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয় এবং ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষ হতে টেক্সটাইল টেকনোলজিতে ১ম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করার মাধ্যমে বর্তমানে অত্র ইনস্টিটিউট মোট ৫টি টেকনোলজি পরিচালনা করছে।
More →সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক মন্দায় ধুঁকছে, বেকারত্ব যেখানে বাসা বেঁধেছে সেখানে উৎপাদনশীল কারিগরি শিক্ষাই তো মুক্তির প্রশস্ত পথ হতে পারে এতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই যারা কারিগরি শিক্ষার মিছিলে, একই ছাতার নিচে একত্রিত হয়ে কারিগরি শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের সকলকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো ক্ষুধা–দারিদ্র, রোগ–ব্যাধি জেন্ডার বৈষম্য, সাম্প্রদায়িকতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি সমস্যায় জর্জরিত হয়েও মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার চেষ্টা করছে। সেখানে কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে সমস্যাগুলো সুন্দরভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব। যেখানে উন্নত দেশগুলো প্রতিবছর বিভিন্ন দেশে রোবট রপ্তানী করছে সেখানে আমাদের রয়েছে কর্মঠ জীবন্ত রোবট। উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদেরকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়ে দেওয়া ও উন্নয়নের স্বাদ নেওয়া সম্ভব। ইতোমধ্যে অবশ্য আমরা কারিগরি শিক্ষা প্রসারের সাথে সাথে উন্নয়নের ছোঁয়া পেতে শুরু করেছি। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্য, সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে, একসাথে কাজ করতে হবে আর কারিগরি শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে সে লক্ষ্যে পৌঁছানোর কাজটা অনেক সহজ হবে। কারিগরি শিক্ষার প্রসার ও মান উন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর সাথে আমরা একাত্মতা ঘোষণা করে সে অনুযায়ী কাজ করে চলেছি আর তারই ধারাবাহিকতায় সিএসএস’র ওয়েবসাইটের পাশাপাশি হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর নিজস্ব ওয়েবসাইটের যাত্রা শুরু হল। সেখানে সকলকে স্বাগত জানাই। আশা করি এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন। তাদের জানা–শোনাকে আরও বেশি শাণিত করবে। আপনাদের সকলের প্রত্যাশা পূরণে আমাদের এই প্রচেষ্টা সার্থক হবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করি। সকল শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও পড়াশোনা পরবর্তী কর্মজীবন অধিক মসৃণ হয়ে উঠুক এই শুভ কামনায়…………
রেভারেন্ড মার্ক মুন্সী
নির্বাহী পরিচালক
সিএসএস, বাংলাদেশ।
More →অনুভূতিগুলো দিতে চাই প্রযুক্তির ছোঁয়ায়,
দেশকে নিতে চাই অন্য উচ্চতায়।
প্রচেষ্টা আমাদের নতুন প্রজন্ম গড়া কারিগরি শিক্ষায়,
সমৃদ্ধির পথে বাঁধাগুলো অতিক্রম করা
আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলা।
খ্রীস্টিয়ান সার্ভিস সোসাইটি পরিচালিত হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। যে কথাটি না বলেলই নয়, “মুক্তির মন্ত্র কারিগরির যন্ত্র” আর বর্তমান সময়ে কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট একটি অন্যন্য নাম। কারণ ব্যবহারিক শিক্ষার ক্ষেত্রে যে সমস্ত উপকরণের সংযোজন হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট-এ রয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। পড়াশোনার পাশাপাশি হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ছাত্রছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনসহ নিয়মিত খেলাধুলার উপকরণ সরবরাহ, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন, ক্যান্টিনের ব্যবস্থা, হোস্টেল ব্যবস্থা, নিজস্ব মনোরম ক্যাম্পাস, লাইব্রেরি, বিজ্ঞানাগার, শীততাপ-নিয়ন্ত্রিত কম্পিউটার ল্যাব, জেনারেটরের মাধ্যমে নিজস্ব বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-শৃঙ্খলা ও সময়জ্ঞান, শিক্ষা সফর, বার্ষিক প্রকাশনার ব্যবস্থা সত্যি অভিভূত হওয়ার মত ও অন্যদের কাছে অনুসরণযোগ্য। সময়ের দাবি মেনে সিএসএস এর ‘জব অ্যান্ড বিজনেস সার্ভিস’ এর অবদান বলার অপেক্ষা রাখে না। একজন শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণভাবে গড়ে তোলার জন্য যে বিষয়গুলো প্রয়োজন তার সিংহভাগ হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সফলভাবে পূরণ করে থাকে। আমি ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলব, বিশ্বায়ন আর প্রযুক্তির এই যুগে তোমরা যুগোপযোগী একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছ তাই তোমাদের উচিত পড়াশোনার প্রতি আরও যত্নবান হওয়া। বই জ্ঞান ধারণ করায়, হাতে-কলমে শিক্ষা তার ব্যবহারিক প্রয়োগ ঘটায়, আমি চাই তোমরা জ্ঞান নিজের অন্তরে ধারণ কর, হাতে-কলমে নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন কর। তোমরা শুধু নিজের নয়, দেশেরও ভবিষ্যত নির্মাতা তাই রুখে দাঁড়াও মাদকের বিরুদ্ধে, ইভটিজিং-এর বিরুদ্ধে, শিশুশ্রম, শিশু ও নারী পাচারের বিরুদ্ধে, অন্যায়- দুনীর্তি ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। অস্ত্রবাজি নয়, এসো আমরা কলমবাজি করি। এসো সবাই মিলে জাতি গড়ার, দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে কাজ করি। এসো দেশমাতৃকার কাছে শপথ নিই- সোনার বাংলা গড়ার।
পরিচালক শিক্ষা
সিএসএস, খুলনা।
বিশ্বায়নের এই যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। উন্নয়নের অংশীদার হতে হলে এবং এর সুফল পেতে হলে দক্ষ জনশক্তি গঠন অবশ্যই প্রয়োজন। আর সে লক্ষ্যেই সিএসএস এর শিক্ষা সেক্টরে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার সংযোজন ছিল একটি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে সেদিন জন্ম হয়েছিল হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর। আর তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই পথচলা। বর্তমান সরকারের সদিচ্ছা ও সহযোগিতার সাথে আমাদের ঐকান্তিক চেষ্টাই আগামী দিনে কারিগরি শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষায় পরিণত করবে এটাই আমাদের সকলের প্রত্যাশা। বহুল জনসংখ্যাপূর্ণ আমাদের এই দেশে কারিগরি শিক্ষাই পারে অবস্থার উন্নতি ঘটাতে এবং উন্নত দেশসমূহের কাতারে সামিল করাতে। সেদিন হয়তো আর বেশি দূরে নয় যেদিন আমরা চাকুরি প্রত্যাশী নয় বরং প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে এক এক জন উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলব এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করব। স্বয়ংসম্পূর্ণ ও সবল রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর বুকে নিজেদেরকে তুলে ধরব নতুন আঙ্গিকে, নতুন চেতনায়। শুধু তাই নয় নেতৃত্বে কারিগরি শিক্ষার্থীরা থাকবে অগ্রভাগে। তাদের সৃজনশীল চিন্তায় নতুন নতুন উদ্ভাবন জীবনযাত্রায় আনবে স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবর্তন। সময়ের পরিবর্তনের ধারায় আমরা থাকব প্রথম সারিতে। প্রাণচাঞ্চল্য ও কর্মব্যস্ততায় আমাদের জীবন হয়ে উঠবে উপভোগ্য আর নৈতিকতায় থাকব আপসহীন। চিরমহান মঙ্গলময় সৃষ্টিকর্তার নিকট এমনই প্রার্থনা ও সমর্পণ রেখে কৃতজ্ঞতায় অন্তর পূর্ণ হোক।
ইঞ্জি. বিভাস কান্তি মন্ডল
অধ্যক্ষ
হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, খুলনা।